পথে নামলেই লজ্জার মাথা খেয়ে জিজ্ঞেষ করি প্রায়শই
কে হে তুমি কর্কট , না কি কীট
জবাবের অপেক্ষা না করেই স্বগতোক্তি করি আনমনে
কীট কিংবা কর্কট যেই হও না কেন তুমি
সর্বনাশের আয়েশের খায়েশে কম তো যাও না দেখি
গুটি গুটি পায়ে গোলাপ বাগানে চলে আসো নিশ্চিন্তেই
পতঙ্গ প্রাণ তোমার প্রেমকে প্রতারণায় করে নির্বাসিত
বিহঙ্গের অঙ্গকে করো ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন দুঃখবাদী সুখে ।
জন্ম যখন আজন্মই পাপ , জন্মদিনতো অজুহাত
বুনো হাতির মদমত্ততায় মাড়িয়ে যাওয়া দূর্বাঘাস
মিষ্টি শব্দের বিষটি আকন্ঠ করাও পান পণবন্দী পাখিদের
ছায়া বৃক্ষ তখন বিষ বৃক্ষের মতোই আপাদ মস্তক আটকে রাখে
মুক্ত থাকার কথা ছিল এই সেদিনও যে যুগল পাখির ।
কথা ছিল শাখা প্রশাখায় খেলা করার , গাইবার গান ।
কর্কট এবং কীটেরা আজকাল এতটাই সক্রিয়
গুটি গুটি পায়ে কুটনীতির কুট-কৌশলে সিদ্ধহস্ত
ফুলের বাগানেও তাই বিব্রত সময় কাটে সবার
সংক্রমণে গোলাপগুলো হয় একেবারে নিষ্ক্রিয় ।
রূদ্ধ হলো সে সংগীত , মধ্যরাতের হয় না ক’ অবসান
কান্না হয়ে ভিজে গেল হায়, হয় না গাওয়া সব গান।
১৭ই মে ২০১৭, ম্যারিল্যান্ড
Copyright@ Anis Ahmed
*সম্প্রতি ধর্ষণের ঘটনায় আহত অভিব্যক্তি