হিমেল সন্ধ্যায় পাতা-ঝরার এই মৌসুমে
অকস্মাৎ দেখি এক চির-সবুজ বৃক্ষ
বুঝলাম বার্ধক্যের ধার ধারেনা বিশাল এ বৃক্ষ
ইতিহাসের বইয়ের পাতা উল্টালো দমকা বাতাস
যেন জানান দিল তেপ্পান্ন বছর ধরে ছায়া দিয়ে আসছে
এই বিশাল বৃক্ষ, লক্ষ-কোটি মানুষ থাকে এরই আশ্রয়ে।
ধীর পায়ে যতই এগুলাম বৃক্ষের কাছাকাছি
ততই আঁধার কেটে আলো পেয়ে যাই আচমকা
সবুজ পাতার ফাঁকে দেখি জ্বলজ্বলে লাল সূরুজ
এ বৃক্ষ কী কোন জাদুকরের হাতে বোনা
ঝড়-বৃষ্টির এত যে তান্ডব চতুর্দিকে
হিমেল শব্দদের এমন যে হুংকার শুনি আমি
তারপরও এই বৃক্ষ রয়ে যায় অনড়, অটল
তার সবুজাভ সত্ত্বার মাঝেই থাকে রক্তিম এক সত্য।
বৃক্ষকে শুধাই আমি, কে তোমায় বুনেছিল এমন নিপুণ দক্ষতায়
বৃক্ষ বলে নাম তার মুজিব, আমার আজন্ম অমর এক বন্ধু।
সেতো অনেকদিন আগে, আমাকে রোয়ানোরও আগে
মাটিকে করেছিল কোমল, এক নয়, ছয় ছয় দফা
দক্ষ কৃষকের মতোই পুঁতেছিল বীজ আমার
অতঃপর অজস্র মানুষের রক্তে কোমল হলো মাটি
আর তখনই আমার জন্ম হলো এই মানচিত্রে
সেই থেকে ঝড়বৃষ্টি মাথায় করে কাটছে কাল আমার।
ম্যারিলান্ড, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪
Copyright@ anis ahmed
You are a very bright person!